গুলাবি তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দুই উপকূল, নিহত ২

গুলাবি তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দুই উপকূল, নিহত ২

ঘূর্ণিঝড় গুলাবের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূল এলাকা। ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গতিবেগে সেটি উপকূলে আছড়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, নৌকা উল্টে দুজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ঝড়ের সময় সাগরে মাছ ধরার কাজে ছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু তীরে ফেরার আগেই ঝড়ের দাপটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় তাদের নৌকা। এতে নিখোঁজ হন ছয় মৎস্যজীবী। পরে দুর্যোগ মোকাবিলার কাজে নিয়োজিত বাহিনী দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করে।

বাকি চারজনের সন্ধান এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

এদিকে তেলঙ্গানার মুখ্যসচিব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সব সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর উত্তর তেলঙ্গানায় রেড অ্যালার্ট এবং দক্ষিণ অংশে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে।

পাশাপাশি আগামী সোম এবং মঙ্গলবার তেলঙ্গানায় ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও জানিয়ে দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) উপকূলগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকেই ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টির দাপটে গুলাবি তাণ্ডব প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাতের মধ্যেই দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্র উপকূলে এ ঝড় আছড়ে পড়ে। মাটি ছোঁয়ার পর ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটারে দাঁড়ায়।

ঘূর্ণিঝড় গুলাবের কারণে অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়। বাতাসের গতি বাড়তে শুরু করার আগেই ১৬ হাজার মানুষকে ওড়িশার উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাতাসের গতি বাড়তে থাকার পরই উপকূল এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন। কলিঙ্গপত্তনমের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোট ৬১টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন।

বিপজ্জনক আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে স্থানীয় জেলেদের। রোববারের পাশাপাশি সোমবারও থাকছে এ নিষেধাজ্ঞা।

এর আগে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কারণে অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর ও ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলে দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। গতকাল রাত ৮টার দিকে কলিঙ্গপত্তনম ও গোপালপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে এ ঝড়। ঝড়ের কেন্দ্র থাকতে পারে কলিঙ্গপত্তনমের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে।