বুস্টার দিয়ে কোনও দেশ মহামারি কাটাতে পারবে না: ডব্লিইএইচও প্রধান

বুস্টার দিয়ে কোনও দেশ মহামারি কাটাতে পারবে না: ডব্লিইএইচও প্রধান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, ধনী দেশগুলো বুস্টার ডোজ চালুর জন্য যে তড়িঘড়ি শুরু করেছে তাতে ভ্যাকসিন বৈষম্য আরও বাড়বে। আর এতে মহামারি আরও দীর্ঘায়িত হবে।

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস জোর দিয়ে বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা ইতোমধ্যে পেয়েছেন তাদের বদলে সব জায়গার দুর্বলতম মানুষদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কোনও দেশই বুস্টার দিয়ে মহামারি কাটাতে পারবে না।

দীর্ঘদিন ধরেই ভ্যাকসিন বৈষম্য নিয়ে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ডব্লিউএইচও। তারা বলছে, কিছু জায়গায় কোভিড অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছড়াতে দিলে নতুন, আরও বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট তৈরির আশঙ্কা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যেতে পারে।

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘ব্যাপক বুস্টার কর্মসূচি মহামারি অবসানের বদলে এটি দীর্ঘায়িত করতে যাচ্ছে। যেসব দেশে ইতোমধ্যে উঁচু মাত্রার ভ্যাকসিন কাভারেজ রয়েছে সেখানে আরও ডোজ সরবরাহ করা হলে, ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার এবং পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ পাবে।’

কয়েক মাস আগে টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বুস্টার ডোজ প্রয়োগ স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। ওই সময় তিনি বলেন, সব দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ নেওয়ার আগে বুস্টার প্রয়োগ বন্ধ রাখা উচিত। বুধবার তিনি জানান, ওই লক্ষ্য অর্জনে এই বছর সারা বিশ্বে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু এই সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে বিশ্বের মাত্র অর্ধেক দেশ সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী বিশ্বের উচ্চ আয়ের দেশগুলোর ৬৭ শতাংশ মানুষ অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এর পরিমাণ ১০ শতাংশের কম।

টেড্রোস বলেন, ‘এটা আসলেই বোঝা কঠিন যে, প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগের এক বছর পার হয়ে গেলেও আফ্রিকার প্রতি চার জন স্বাস্থ্য কর্মীর তিনজনই এখনও টিকা পায়নি।’

এমজে/