ওমিক্রন: শুক্রবার থেকে ১১৫০০ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে

ওমিক্রন: শুক্রবার থেকে ১১৫০০ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে

ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে শুক্রবার থেকে বিশ্বে কমপক্ষে ১১,৫০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আরো হাজার হাজার ফ্লাইট করা হয়েছে বিলম্বিত। একদিকে করোনাভাইরাস, অন্যদিকে বড়দিনের ছুটিতে মানুষের দেশে বা বাড়িতে পরিবার পরিজনের কাছে ফেরার ঢেউ। সব মিলে আকাশপথে তীব্র এক চাপ সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সোমবারই সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। অনেক বিমান সংস্থা বলেছে, ওমিক্রন করোনাভাইরাসের কারণে তাদের স্টাফের সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য হয়তো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে অথবা বিলম্বিত করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে।

সোমবার বাতিল করা হয়েছে ৩ হাজার ফ্লাইট। মঙ্গলবার এ সংখ্যা ১১০০। ফ্লাইটঅ্যাওয়ার সাইটকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

ওমিক্রন আতঙ্কে অনেক শ্রমিক কাজে যোগ দেননি। এ জন্য অধিক সংখ্যক মানুষ যাতে দ্রুত কাজে যোগ দেন এবং শ্রমিকের বড় ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন যাদের করোনার লক্ষণ দেখা দেয়নি, তাদের আইসোলেশনের সময় অর্ধেক করে দিয়েছে। ১০ দিন থেকে তাদের আইসোলেশনের সময় এখন ৫ দিন। বলা হয়েছে, এরপর কাজে যোগ দিতে এলে মুখে মাস্ক পরতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের যে রেকর্ড দেখা যাচ্ছে তা জানুয়ারিতে সর্বোচ্চে পৌঁছাতে পারে। এর কারণ, এখনও টিকা না নেয়া বিপুল পরিমাণ মানুষের বিশেষ বিশেষ গ্রুপ। এ ছাড়া আছে পরীক্ষা স্বল্পতা। সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করেছেন এই বলে যে, যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়তে পারে। তবে দেশ যথেষ্ট প্রস্তুত। এ জন্য মার্কিনিদের আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়।

গত বছর জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয় আড়াই লাখ। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে অবস্থান করে। সেখানে এরই মধ্যে করোনা মহামারিতে মারা গেছেন কমপক্ষে ৮ লাখ ১৬ হাজার মানুষ।