ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল সফর, হামাস ও লিকুদ পার্টির নিন্দা

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল সফর, হামাস ও লিকুদ পার্টির নিন্দা

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হঠাৎ করে ইসরায়েল সফর করেছেন। বিরল এ সফর নিয়ে দেশ দুটিসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে পৌঁছান আব্বাস। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর রোশ হায়াইনে বেনি গান্তজের বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। খবর এএফপির

 ২০১০ সালের পর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির এটাই প্রথম সফর। তাদের মধ্যে নিরাপত্তা ও নাগরিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তাদের এই বৈঠকের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েলের বিরোধী দল লিকুদ পার্টি ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বৈঠকের পর বেনি গান্তজ বলেছেন, আমরা অর্থনৈতিক ও নাগরিক পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। এতে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মঙ্গলের জন্য সন্ত্রাস ও সহিংসতা রোধ এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনের সঙ্গে 'আস্থা-নির্মাণ পদক্ষেপ' ঘোষণা করে। এর আওতায় ফিলিস্তিনকে ৩২ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার এবং ইসরায়েলজুড়ে ব্যবসার জন্য তাদের ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ৬০০ অনুমতি পাস দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বুধবার ফিলিস্তিনের সিভিল অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক মন্ত্রী হুসেন আল শেখ বলেছেন, রাজনৈতিক সংকটের সমাধান ইস্যুতে আব্বাস ও গান্তজের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতা ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের কাজে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।

লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের বৈঠক ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

হামাস এই সফরের কড়া সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে বলেছে, মাহমুদ আব্বাসের এই সফর ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন ব্যবহার দেশটির রাজনৈতিক বিভাজনকে গভীর করবে ও সার্বিক পরিস্থিতি জটিল করবে। সর্বোপরি আঞ্চলিকভাবে অবৈধ দখলদারদের সঙ্গে যারা ভালো সম্পর্ক রাখতে বা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় তাদের উৎসাহিত করবে এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্বল করবে।

কাশেম ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলা দেশ হিসেবে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো ও সুদানের নাম উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করার পর এসব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।