ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে একাট্টা জিনপিং-পুতিন

ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে একাট্টা জিনপিং-পুতিন

ইউক্রেন ঘিরে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শক্তিমত্তার পরীক্ষায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার এক বৈঠকে দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছেন। সামরিক জোট ন্যাটো সম্প্রসারণেরও নিন্দা করেছেন তারা। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, বেইজিং ও মস্কোর সম্পর্কের কোনো সীমা নেই।

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব প্রকাশের জন্য সুপরিকিল্পতভাবে এই বৈঠককেই বেছে নেন জিনপিং ও পুতিন। বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ওই বৈঠকে মিলিত হন তারা। দুই বছর পর এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সশরীরে বৈঠকে মিলিত হলেন জিনপিং। করোনাভাইরাসের কারণে চীনা নেতা এতদিন এ ধরনের বৈঠক এড়িয়ে চললেও শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় কারও মুখেই মাস্ক ছিল না।

বৈঠক শেষে দুই নেতার ৫৩০০ শব্দের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতির মধ্যে এদিন চীনে যান পুতিন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলতি বছর এটিই চীনে পুতিনের প্রথম সফর এবং দু'দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ানোর পথে আরেক ধাপ অগ্রগামী পদক্ষেপ। জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিনের আলোচনা 'খুবই উষ্ণ' এবং 'ফলপ্রসূ' হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। দুই নেতা এ নিয়ে ৩৮ বার বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে জানায় নিউইয়র্ক টাইমস।

যৌথ বিবৃতিতে ন্যাটো স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার নিরাপত্তা চুক্তি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে ন্যাটোকে স্নায়ুযুদ্ধের মন-মানসিকতা পরিহার করে অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, স্বার্থ এবং নাগরিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পটভূমির বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানো এবং একইসঙ্গে অন্য দেশগুলোর শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ মনোভাব বজায় রাখতেও বলা হয়েছে।

বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাশ্চাত্যের অনেক দেশ বর্জন করেছে। ভারতও বর্জন করেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২১ জন বিদেশি নেতা অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের বেশিরভাগই কর্তৃত্ববাদী শাসক। এর মধ্যে রয়েছেন মিসরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, পোল্যান্ডের নেতা অ্যান্ড্রেজ ডুডা প্রমুখ।