ইস্তাম্বুল বৈঠকের পর কিয়েভে হামলা কমানোর আশ্বাস মস্কোর  

ইস্তাম্বুল বৈঠকের পর কিয়েভে হামলা কমানোর আশ্বাস মস্কোর   

 

ইউক্রেনে আগ্রাসন অব্যাহত থাকলেও শান্তি আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেছিল ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দল। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরনিহিভে সামরিক কার্যকলাপ কমানের আশ্বাস দিয়েছে মস্কো। দুদেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর এটি প্রথম পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া বৈঠকে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ সময় তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন। এরদোয়ান বলেন, এই আলোচনার অগ্রগতি দুই নেতার সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি করবে। আর সেই আলোচনা আয়োজনের জন্যও তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পঞ্চম সপ্তাহে গড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, এই সংঘাত বন্ধ করা উভয়পক্ষেরই দরকার।

এর আগে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে পৌঁছায়। কয়েকদিন আগেও দুদেশের মধ্যে কয়েক দফা শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি শুধু মানবিক করিডোর চালু করা ছাড়া।

এই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের হয়ে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকোভ এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান মিখাইল পোডোলিয়াক।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা।

এক মাসের বেশি ধরে চলছে দুপক্ষের লড়াই। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশ ছাড়া হয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ ইউক্রেনীয়। ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া। যার প্রভাব পড়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও। কয়েক দফায় আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম।