বেসামরিকদের অবলিম্বে ডনেস্ক ছাড়ার নির্দেশ জেলেনস্কির

বেসামরিকদের অবলিম্বে ডনেস্ক ছাড়ার নির্দেশ জেলেনস্কির

ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন পূর্ব ডনেস্ক অঞ্চলে এখনও যেসব বাসিন্দা রয়ে গেছেন তাদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রবিবার দিবাগত রাতে ভাষণে রুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে তীব্র লড়াইয়ের আভাস দিয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘এখন যত বেশি মানুষ ডনেস্ক অঞ্চল ছেড়ে যেতে পারবেন, তত কম লোক হত্যা করার সময় পাবে রাশিয়ান সেনাবাহিনী’।

লুহানস্ক ও ডনেস্ক এই দুই অঞ্চল মিলে ডনবাস। লুহানস্কের বেশিরভাগ জায়গায় তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এখন ডনেস্ক নিয়ন্ত্রণে নিতে ভারী হামলা শুরু করেছে। এতে অঞ্চলটিতে থাকা ইউক্রেনীয়দের বাসিন্দাদের নিয়ে চিন্তিত কিয়েভ। রুশ বাহিনীর ধীরগতির অগ্রগতির মধ্যেও এই অঞ্চলে ভারী সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে, ইতিমধ্যে কিছু এলাকার ভেতরে ঢুকে গেছে শত্রুপক্ষের যোদ্ধারা।

এমন বাস্তবতায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, আমরা যতটা সম্ভব সেখানকার বাসিন্দাদের জীবন বাঁচাতে এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।

এদিকে, ডনেস্কের অঞ্চলের ওলেনিভাকার কারাগারে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে ইউক্রেনের ৫০ যুদ্ধবন্দি হত্যার তদন্তে জাতিসংঘ ও রেডক্রস কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেলেনস্কি।এ ঘটনায় একে অপরকে দোষারাপ করছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ঘটনার 'উদ্দেশ্যমূলক তদন্তকে' স্বাগত জানাবে মস্কো। ওলেনিভকা বন্দি শিবিরটি রুশ সমর্থিত স্ব-ঘোষিত ডনেস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিএনআর) নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, গত (২৯ জুলাই) শুক্রবার মার্কিন নির্মিত হিমার্স রকেট ব্যবস্থা দিয়ে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি কারাগারে হামলা করেছে ইউক্রেন। এখানে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের রাখা হয়েছিল। এদের মধ্যে আজভ ব্যাটালিয়নের যোদ্ধারাও ছিলেন। মস্কো আরও জানিয়েছে, তাদের হামলা ৫০ জন যুদ্ধবন্দি নিহত হন। এমন অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছে কিয়েভ।