সেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান ৪২ দেশের

সেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান ৪২ দেশের

রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের জাপোরিঝজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। বিপর্যয় এড়াতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়াকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৪২ দেশ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। অভিযানের শুরুর দিকেই ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখল করে নেয় রাশিয়া।

এই যুদ্ধে ব্যাপক ধ্বংসলীলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মৃত্যুর অনেক ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই পরমাণুকেন্দ্রে যদি কোনো বিপর্যয় ঘটে, তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছেই।

রোববারও জাপোরিঝজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে এনেরহোডার শহরে জোরালো সংঘর্ষ ঘটেছে।

রোববারের সংঘর্ষের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দায়ী করেছে। রাশিয়ার সূত্র অনুযায়ী ‘ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরা’ ওই এলাকার ওপর হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে দিমিত্রো অর্লভ শহরের ইউক্রেনীয় মেয়র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘হত্যাকারী প্ররোচনা’র অভিযোগ করেছেন। রাশিয়া পরমাণুকেন্দ্রটিকে ‘দুর্গ' হিসেবে ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে বলে ইউক্রেন সমালোচনা করছে।

অন্যদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরাসরি পরমাণুকেন্দ্রের ওপর হামলার অভিযোগ করছে।

এই কেন্দ্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ৪২ দেশ অবিলম্বে সেখান থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, নরওয়ে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও অন্যান্য কয়েকটি দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকা থেকে রুশ সেনা ও অন্যান্য অননুমোদিত ব্যক্তিদের অপসারণ দাবি করেছে।

গোটা ইউক্রেন থেকেই রুশ সেনা সরানোর দাবিও করেছে এই দেশগুলো। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পরিচালক সংস্থা ও ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ পরমাণুকেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ আবার গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করতে পারে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ সেখানে পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর নিয়মিত নজর রাখতে পারবে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে