মালিতে নৌকা ও সেনাঘাঁটিতে হামলায় নিহত ৬৪

মালিতে নৌকা ও সেনাঘাঁটিতে হামলায় নিহত ৬৪

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে যাত্রীবাহী নৌকা ও সেনাঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন সেনা ও ৪৯ বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

মালির সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল রারহৌসে আবাকইরা ও জরঘইয়ের মধ্যে কোমানাভের একটি নৌকায় হামলা চালিয়েছে।

নৌকার পরিবহণ অপারেটর কোমানাভ পৃথক এল বিবৃতিতে বলেছে, নৌকাটির ইঞ্জিন লক্ষ্য করে অন্তত তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে। নৌকাটি যখন হামলার পর পানিতে আটকে যায় তখন দেশটির সেনাবাহিনী তা উদ্ধার করতে আসে।

এছাড়া দেশটির গাও অঞ্চলের বউরেম সার্কেলে সেনা স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী দল। বৃহস্পতিবার এই হামলার ঘটনায় চূড়ান্ত নিহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। হামলায় বহুজন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মালির অন্তর্বর্তী সরকার হতাহতের ঘটনায় দেশটিতে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।

এর আগে গত ২০ আগস্ট দেশটির বান্দিয়াগারা শহরের কাছে ইয়ারু এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এছাড়া গত ২৮ মে মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ ফরমড্ পুলিশ ইউনিটের টহল টিমের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ব্যানএফপিইউ-২, মিনুসমা, মালির তিন সদস্য আহত হন।

পুলিশ সদস্যদের বহনকারী আর্মাড পারসোনাল ক্যারিয়ারটিও (এপিসি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গত এক দশকে মালির মধ্যাঞ্চল, উত্তর বুরকিনা ফাসো এবং পশ্চিম নাইজারের সীমান্ত যেখানে একত্র হয়েছে সেই সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএলের (আইএসআইএস) সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়া থেকে আসা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব নাইজারও। ২০১০ সালে সেখানে বোকো হারামের তৎপরতা শুরু হয়।