গাজায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে, অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: জাতিসংঘ

গাজায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে, অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর ফ্রাঁসেস্কা আলবানিজ বলেছেন, গাজায় নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। অবশ্যই এটা বন্ধ করতে হবে। গাজায় হাতেগোণা যে কয়েকটি হাসপাতাল নামকাওয়াস্তে সচল আছে তারা রোগী ও মৃতদেহের ব্যবস্থাপনা করতে গলদঘর্ম। এর মধ্যে গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলিরা। দিয়ের আল-বালাহ’তে এমন হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। ওদিকে গাজায় আক্রমণ বন্ধ না করলে তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হামাসের সিনিয়র নেতারা। ৭ই অক্টোবর থেকে হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৬,২৪৮। এ অবস্থায় দখলীকৃত ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর আলবানিজ বলেছেন, গাজায় নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করা যায় না। এটা পুরো উন্মাদনা ছাড়া কিছু না।

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেছেন। তার সঙ্গে শেয়ার করেছেন গাজার ভয়াবহ ভিডিও ফুটেজ। তাতে দেখানো হয়েছে ফিলিস্তিনি মৃত নবজাতকদের। দেখানো হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া শিশুরা কিভাবে মেঝেতে পড়ে আছে। তিনি লিখেছেন, হাসপাতালগুলো আর কার্যকর নেই। কোনো চিকিৎসা নেই। এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করার কোনো ভাষা নেই। 

ওদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি লিখেছে ফিলিস্তিনের জাতিসংঘ মিশন। ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন মানছে না এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। এতে বলা হয়েছে, আইন নিয়ে অব্যাহতভাবে মস্করা করতে ইসরাইলকে অনুমতি দিতে পারে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অমান্য করছে ইসরাইল। এটা কিভাবে মেনে নিতে পারে পরিষদ?

উল্লেখ্য, ১৫ই নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাতে গাজায় জরুরি ভিত্তিতে এবং সম্প্রসারিত সময়ের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে আইনগতভাবে বাধ্য যুদ্ধবিরতি মানতে নিজের শক্তি ব্যবহার করতে হবে নিরাপত্তা পরিষদকে। এই চিঠিটি লেখা হয়েছে ইকুয়েডরের হোসে ডা লা গাসকার উদ্দেশে। এ দেশটি ডিসেম্বর মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পায়।

 ওদিকে জাতিসংঘ বলেছে, আগের দিনের চেয়ে গাজায় বোমা হামলা তীব্র হয়েছে। বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস বলেছে, সেখানে ইসরাইলের নৃশংস অপরাধ ঘটানোর ঝুঁকি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবাধিকার সমন্বয় বিষয়ক জাতিসংঘে অফিস থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার মিশর থেকে ত্রাণবোঝাই কয়েক ডজন ট্রাক প্রবেশ করেছে গাজায়। রোববার থেকে কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি রাফাহতে পৌঁছেছেন।