ভারতে ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

ভারতে ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

ভারতে ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি আটকে দিল আমেরিকা! খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ‘সঠিক’ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নাকি ভারতকে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করা হবে না। ‘দ্য ওয়্যার’ সূত্রে এমনটাই খবর। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আমেরিকার কাছ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থার ৩০০ কোটি ডলারের ড্রোন কিনত ভারত। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কথা ছিল, ৩১-এমকিউ সি গার্ডিয়ান এবং স্কাই গার্ডিয়ান কিনবে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে ১৫টি সি গার্ডিয়ান পেত নৌবাহিনী এবং ৮টি স্কাই গার্ডিয়ান পেত বিমানবাহিনী। এবার সেই ড্রোন সরবরাহ আটকে দিল ওয়াশিংটন। শুধু ড্রোন নয়, সমুদ্রে টহলদারি বিমান পিএইটআই-ও কেনার কথা ছিল। কিন্তু সেই চুক্তির বাস্তবায়নই এবার আটকে গেল। দ্য ওয়্যার সূত্রে খবর, ‘পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার খবরে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশ ভারতের উপর ক্ষুব্ধ। তারাই অস্ত্র কেনার বিষয়টিকে আটকে দিয়েছে।’ এখন দেখার, নয়াদিল্লি কীভাবে পুরো বিষয়টির মোকাবিলা করে।

সম্প্রতি মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আমেরিকার মাটিতে এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, নাম না করে রিপোর্টে গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের কথাই তুলে ধরা হয়েছিল। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই ভারতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। মার্কিন সরকারি কৌশলী অভিযোগ এনেছেন, ভারতীয় সরকারের এক কর্মীর সঙ্গে যৌথভাবে মার্কিন ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন ভারতীয় যুবক। এই অভিযোগের সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত না কি নয়াদিল্লিকে ড্রোন সরবরাহ করবে না আমেরিকা।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ড্রোন। তাদের কার্যকারিতা বিশ্বের নজর কেড়েছে। তাই চীন সীমান্তে নজরদারির জন্য এ ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করেছিল নয়াদিল্লি। মনে করা হচ্ছিল, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মূহূর্তে ছবি পালটে দিতে পারে এই ড্রোন। আর পুরো বিষয়টির মেরুদন্ড ছিল মার্কিন ড্রোনগুলি। এখন সেই চুক্তি ‘আটকে’ যাওয়ায় ভারতের সেই পরিকল্পনা বেশ ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।