গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৮,০০০; যুদ্ধ চলছেই

গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৮,০০০; যুদ্ধ চলছেই

গাজায় ইসরাইলের নৃশংসতায় নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। এই সংখ্যা এখন ২৭ হাজার ৯৪৭। কিন্তু যুদ্ধ অব্যাহত গতিতে চলছে। এরই মধ্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফা থেকে বেসামরিক লোকজনকে উদ্ধার এবং একই সঙ্গে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনীকে। হামলার মধ্যে বেসামরিক লোকজনকে উদ্ধার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের দূত। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ বলেছেন, গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকই এখন রাফায় অবস্থান নিয়েছেন। তারা বাস্তুচ্যুত। তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাদের কোনো আশ্রয় নেই। কোনো আশা নেই।

খান ইউনুসে নাসের হাসপাতালের বাইরে ইসরাইলি স্নাইপারদের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২১ জন। ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলিরা গাজায় হত্যা করেছে ১০৭ জন ফিলিস্তিনিকে। আহত হয়েছেন ১৪২ জন। যুদ্ধবিরতির জন্য অক্লান্ত কাজ করার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওদিকে রাফায় পরিকল্পিত হামলার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে কানাডা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, রাফায় ইসরাইলের সামরিক অপারেশনের খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ হামলার ফলে ভয়াবহ এক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। এতে ফিলিস্তিনি, কানাডাসহ বিদেশি নাগরিকদের জীবন মারাত্মক বিপদে পড়তে পারে। মানবিক সহায়তা বিঘ্নিত হবে। তাতে এসব সহায়তার ওপর নির্ভর করে যেসব মানুষ বেঁচে আছেন, তাদের পরিণতি করুণ হবে। এর ফলে আমরা অব্যাহতভাবে বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষিত রাখার, জিম্মিদের মুক্তি দাবি করি। একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির জরুরি পদক্ষেপের মাধ্যমে তা করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, কানাডার এমন বিবৃতি বিরল।

অন্যদিকে ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের বের করে না দিলে তাদের ওপর হামলা শুরুর প্রত্যয় ঘোষণা করেছে ইরানপন্থি গ্রুপ ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক (আইআরআই)। এ বিষয়ে তারা একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মার্কিন বাহিনীকে পরাজয় স্বীকারে বাধ্য করা হবে। হিজবুল্লাহর সিনিয়র কাতিব কমান্ডার উইসাম মোহাম্মদ সাবের আল সায়েদিকে হত্যা করা হয়েছে সমস্ত রকম নিয়ম লঙ্ঘন করে। গত কয়েক দিনে ইরাকি জনগণ, বন্ধুবান্ধব এবং দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে এটা নিশ্চিত হয়েছে যে- দখলদার শত্রুরা এ দেশটি থেকে তাদের ছোট রকমের কাজ এবং বিদ্রোহ বন্ধ করেনি। তারা অস্ত্রের ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝে না। আইআরআইয়ের একটি সদস্য কাতাইব হিজবুল্লাহ। গত মাসে জর্ডানে মার্কিন তিন সেনা সদস্যকে ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয়। এর প্রেক্ষিতে তারা ঘোষণা দেয় যে, মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান স্থগিত রাখবে। মার্কিন সেনাদের হত্যার বদলা নিতে ইরাক ও সিরিয়ায় কয়েক ডজন স্থাপনায় আকাশপথে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

ওদিকে লেবাননের সঙ্গে ইসরাইলের উত্তর সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে তীব্র যুদ্ধ চলছে ইসরাইলি বাহিনীর। যদি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে হিজবুল্লাহ তাদের সেনা প্রত্যাহার না করে, ইসরাইলিদেরকে তাদের ঘরে ফিরতে না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে ফ্রান্স ও পশ্চিমা কিছু দেশ।