ক্ষমতার চাবি নওয়াজের হাতেই, মরিয়ম হবেন প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী

ক্ষমতার চাবি নওয়াজের হাতেই, মরিয়ম হবেন প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী

নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। কিন্তু পর্দার আড়ালে ক্ষমতার চাবি থাকবে তার হাতেই। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদ তারই ছোটভাই, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্যই দৃশ্যত এখন পর্যন্ত বরাদ্দ। উপরন্তু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) মনোনয়ন দিয়েছে তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে। এরই মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন মরিয়ম। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন একটি নতুন যুগের। পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, নতুন সরকার গঠন করতে একমত হয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পিএমএলএন। সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট পদ দেয়া হবে পিপিপির সহসভাপতি, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে।

মন্ত্রীপরিষদে কোন দল কোন পদ পাচ্ছে তা স্থির হয়নি। কিন্তু পিএমএলএনের পার্লামেন্টারি কমিটি বুধবার মিটিংয়ে পাঞ্জাবে দলীয় মুখ্যমন্ত্রীর পদে মনোনয়ন দেয় মরিয়মকে। এর পর ভাষণ দিয়েছেন তিনি।

বলেছেন, পাঞ্জাবে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে। পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে পিএমএলএন বিজয় অর্জন করার কারণে অভিনন্দন জানাই। যদি ভোটে নির্বাচিত হন তাহলে পাকিস্তানের কমপক্ষে সাত দশকের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম কোনো নারী মুখ্যমন্ত্রী। পাঞ্জাব প্রদেশের জনসংখ্যা কমপক্ষে ১২ কোটি ৭০ লাখ। এই সংখ্যা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে অর্ধেক। এর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি। মরিয়ম সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এটা খুব কঠিন নির্বাচন ছিল। পাঞ্জাবের জনগণ আমাদেরকে পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী করার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা রেকর্ড গড়বো। নির্বাচনের পর থেকে আমি স্থির নেই। আমাদের সবাইকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, পিএমএলএনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সংগঠক মরিয়ম নওয়াজ। তার পিতা নওয়াজ শরীফকে গ্রেপ্তার, জেলে পাঠানো এবং সর্বশেষ তিনি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়ার পর দলকে তার চাচা শেহবাজ শরীফের পাশে থেকে সংগঠিত রেখেছেন। তিনি বলেন, পাঞ্জাবের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেয়ায় তিনি ব্যাপকভাবে সম্মানীত বোধ করছেন। এই সম্মানকে তিনি তার মেয়ে, মা, বোন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। তিনি আরও বলেন, এই প্রদেশটি স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাখাতে এবং স্থানীয় সরকারে বড় রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তার ভাষায়, আমি সেফ পাঞ্জাব প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছি। সব শহরের জন্য সেফ সিটি প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে আমাদেরকে। পুলিশ স্টেশনগুলোতে নারীদের পরিবেশ উন্নত করার জন্য আমরা মডেল নারী পুলিশ স্টেশন স্থাপন করবো।