অবশেষে থামলো জয়রথ, ওয়াশিংটনে নিকির কাছে হারলেন ট্রাম্প

অবশেষে থামলো জয়রথ, ওয়াশিংটনে নিকির কাছে হারলেন ট্রাম্প

এই প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচনে হারের মুখ দেখলেন রিপাবলিকান নেতা ডনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হ্যালিকে বেছে নিয়েছেন ৬৩ শতাংশ ভোটার। ওয়াশিংটন একটি দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক শহর যেখানে অল্প সংখ্যক নিবন্ধিত রিপাবলিকান রয়েছে।

প্রথমবার প্রাথমিক নির্বাচনে জয় পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত নিকি। ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৩.২ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রাক্তন সাইথ ক্যারোলিনার গভর্নর পেয়েছেন ৬২.৯ শতাংশ ভোট। এই জয়ের ফলে ওয়াশিংটন ডিসির ১৯ প্রতিনিধি পেয়েছেন হ্যালি। বর্তমানে তার প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ালো ৪৩। ২৪৭ জন প্রতিনিধি রয়েছে ট্রাম্পের। ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তৎকালীন প্রার্থী জো বাইডেন ওয়াশিংটনে ৯২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। শহরটি কখনোই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট দেয়নি।

জয়ের পর হ্যালি তার বিবৃতিতে বলেছেন, এটা আশ্চর্যের কিছু নয় যে ওয়াশিংটনের রিপাবলিকানরা ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমস্ত বিশৃঙ্খলাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

মঙ্গলবারই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী চূড়ান্ত হবে। ওইদিন ১৫টি প্রাথমিক নির্বাচন হবে। তবে আগের প্রত্যেকটি নির্বাচনে জয়লাভ করায় অনেকখানি এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। গত শনিবারই দক্ষিণ ক্যারোলিনায় জয় পেয়েছিলেন। তার আগে লোয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নাভেদা, ভার্জিন আইল্যান্ডেও জয়ের হাসি হেসেছেন। সম্প্রতি গড় হিসেবে পরিচিত সাউথ ক্যারোলিনা প্রদেশে ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হারতে হয়েছিল নিকি হ্যালিকে। তা সত্ত্বেও প্রার্থী বাছাই নির্বাচন থেকে সরে আসেননি তিনি। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির প্রাইমারিতে জিতে নজির তৈরি করেছেন। তিনিই প্রথম নারী যিনি রিপাবলিকান পার্টির কোনও প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন। আগামী ২৫ মার্চ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম ক্রিমিনাল ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা। যদি আইনি ঝামেলায় ট্রাম্প ছিটকে যান, তবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিকি হ্যালির রিপাবলিকান পদপ্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিকির জয় বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্র : এনডিটিভি