ইরানের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত ইসরাইলের

ইরানের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত ইসরাইলের

ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ইরান এবং তার প্রক্সিদের ওপর কোন ধরনের হামলা চালাবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কখন এই হামলা হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জেরুসালেম পোস্ট জানায়, নানা হিসাব বিবেচনা করে এই হামলা চালানো হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বর্তমান সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হতে পারে।

পত্রিকাটি জানায়, ইসরাইল হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর। তবে তারা এখনো আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লে. জেনারেল হারজি হ্যালেভি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানে হামলার সময় খুবই নিকটে নয়। তিনি ব্যাটালিয়ন ১৩৬-এর অ্যারো এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি পরিদর্শনকালে এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা চলতি পাসওভার সপ্তাহকে নাগরিকদের জন্য স্বাভাবিক রাখতে চাই।

জেরুসালেম পোস্ট জানায়, ইসরাইলি হামলা বেশ কিছুদিনের জন্য স্থগিত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হামলার মধ্যে থাকতে পারে ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা, ইরানি হামলার সাথে জড়িত ড্রোন ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে হামলা, কিংবা ইরানি রেভ্যুলশনারি গার্ড কোরের সদস্যদের হত্যা করা। কিংবা ইরানের ওপর সাইবার হামলাও চালাতে পারে ইসরাইল।

গত শনিবার ইরান প্রায় ৫০০ ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরাইলে। গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ সাতজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ইরান ওই আক্রমণ চালায়।

এর আগে ইসরাইল বলেছিল, ৩০০ থেকে ৩৫০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল ১২০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ১৭০টি ড্রোন এবং ৩০ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। একইসাথে হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে রকেট নিক্ষেপ করেছিল। এছাড়া ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইরাকি মিলিশিয়া গ্রুপগুলোও হামলায় অংশ নেয়।সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট