চাঁদ দেখা নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্ত ভুল!

চাঁদ দেখা নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্ত ভুল!

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহুসংখ্যক মানুষ শনিবার সন্ধায় পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখেছে বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি মজলিসু রুইয়াতুল হিলালের সভাপতি ও আন্তর্জাতিক চাঁদ গবেষক আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান। তাদের দাবি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভুলভাবে পবিত্র শাবান মাস গণনা এবং ভুল তারিখে শবে বরাত পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মজলিসু রুইয়াতুল হিলাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা আবুল বাশার জানান, গত শনিবার সন্ধায় খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার হাতীমুড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মুহম্মদ মইনুল ইসলাম পারভেজ এবং মসজিদের মুসুল্লি হাফেজ মুহম্মদ সোহেল, মুহম্মদ আব্দুল মান্নান, মুহম্মদ আবু তাহের, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হুসাইন, মুহম্মদ হাসানসহ আরো অনেকে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখেছেন।

উসমান পল্লী গ্রামের মসজিদ কমিটির সভাপতি মুহম্মদ কবীর হুসাইন তিনিও চাঁদ দেখতে পান। এছাড়া মুহম্মদ ফরহাদ আহমদ নামের এক অনলাইন এক্টিভিস্ট বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থেকে চাঁদ দেখতে পেয়েছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, রুইয়াতিল হিলাল মজলিশের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি হাফিজ মুহম্মদ মূইনুল ইসলাম পারভেজ চাঁদ দেখার খবর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জানানোর পর রুইয়াতিল হিলাল মজলিশের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা ৪৪ মিনিটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ০২-৯৫৫৯৪৯৩ নম্বরে কল করে চাঁদ দেখার খবর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলকে জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদেরকে চাঁদ দেখার কোনও রিপোর্ট পাঠাননি। তাই আমাদের করণীয় কিছু নেই। পরে যারা চাঁদ দেখেছেন তারা ডিসির সঙ্গে কথা বলে জানান। পরে ডিসি বিষয়টি ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে জানান।

এরপর রাত ১১ টা ১ মিনিটে ফোনে ডিসি আমাদেরকে জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি বিদেশে তাই তিনি সচিবকে জানিয়েছেন, হাতিমুড়া থেকে তার কাছে চাঁদ দেখার খবর এসেছে। তখন সচিবও তাকে বলেন, খবরটি আমরা পেয়েছি। তবে যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে সেহেতু এখন আর কিছু করা যাবে না।

আল্লামা আবুল বাশার বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খাগড়াছড়ি জেলা চাঁদ দেখা বিষয়ক কমিটির সভাপতি, জেলা ডিসির মাধ্যমে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’কে জানানোর পরও শাবান মাসের চাঁদ দেখার সঠিক তারিখ ঘোষণা করছে না ইসলামিক ফাউন্ডেশন। যা সম্পূর্ণরূপে শরিয়ত বিরোধী।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখার দায়িত্বশীল ওয়াচারদের গাফলতি ও অনিয়মের অভিযোগও পুরোনো দাবি করে তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে হাতিমুড়া চাঁদ দেখার বিষয়টি আমলে নিয়ে পরিবর্তিত তারিখের ঘোষণা দেয়া উচিত ছিলো। কারণ বিগত সময়েও দেখা গেছে তারাবীহ নামাজের পরও নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গোটা দেশব্যাপী ঈদও পালিত হয়েছে। এছাড়াও ২০০৮ সালেও আখেরী চাহার শোম্বাহ তারিখ ঘোষণায় হেরফের করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তখন চাঁদ না দেখেই ৫ মার্চ আখেরি চাহার শোম্বাহ তারিখ ঘোষণা করে ইফা।

এমআই