গাজিপুরের একটি গার্মেন্টস কারখানায় তিন বেলা নামাজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অফিস চলাকালীন যোহর, আসর ও মাগরিব- এই তিন ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়তে বলা হয়েছে। গাজীপুরের মাল্টিফ্যাব্স লিমিটেড নামের ওই প্রতিষ্ঠানে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এমন নোটিশ টানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, কর্মীদের মধ্যে মতভেদ-দুরত্ব কমানোর উপায় হিসেবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া এতে স্বাস্থ্যের ইতিবাচক দিক রয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।
নোটিশে বলা হয়েছে, এই তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পাঞ্চ মেশিনে পাঞ্চ করতে হবে। তাতে আরো লেখা রয়েছে, ‘যদি কোন স্টাফ মাসে সাত ওয়াক্ত পাঞ্চ করে নামাজ না পড়েন তবে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বেতন হতে একদিনের সমপরিমাণ হাজিরা কর্তন করা হইবে।’
এ ব্যাপারে ফ্যাক্টরিটির অপারেশন্স বিষয়ক পরিচালক মেসবাহ ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সবাই নামাজ পড়ি। আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, তাদের নামাজ পড়া ফরজ। এখানে মুসলমান যারা আছেন তারা সবাই নামাজ পড়ে। কিন্তু তারা নামাজ পড়ে বিক্ষিপ্তভাবে।
কর্মীদের মধ্যে মতভেদ-দূরত্ব কমানোর একটি উপায় হিসাবে কারখানায় নামাজ বাধ্যতামূলক করার এই সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানান। বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন মতভেদের লোক আছে। এখানে একটা টিম হিসেবে কাজ করতে হয়। এখানে ফেব্রিক ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে নিটিং সেক্টরের হয়তো একটা সমস্যা থাকে। একেকজন একেকজনের ওপর দোষারোপ সারাদিন চলতেই থাকে। তো আমি এটার সমাধান হিসেবে চিন্তা করলাম তাদের যদি একসঙ্গে বসানো যায়, একসঙ্গে কিছু সময় যদি তারা কাটায়, তাদের মধ্যে দূরত্বটা কমবে।
মেসবাহ ফারুকী বলেন, তাছাড়া সারাদিন বসে বসে কাজ করায় কোলেস্টেরল বাড়ছে, ডায়াবেটিস বাড়ছে। মসজিদ চারতলায় হওয়াতে কিছুটা ব্যায়ামও হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তারা অন্য কোন ধর্মাবলম্বীকে নামাজ পড়তে বাধ্য করছেন না।