আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা

আজ ১০ মুহররম, পবিত্র আশুরা। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালন করা হবে।

দিবসটি ত্যাগ ও শোকের প্রতীক। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এটি পালিত হয়। এ দিন বাংলাদেশে সরকারি ছুটি।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, পবিত্র আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সকলের জীবনে প্রতিফলিত হোক। কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদের অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে, প্রেরণা যোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। পবিত্র আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সকলের জীবনে প্রতিফলিত হোক- এ প্রত্যাশা করি।

এদিকে দিনটি উপলক্ষ্যে আজ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম এবং স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এই দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার দুপুর দেড়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ১০ম দিনকে ‘আশুরা’ বলা হয়। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে এ দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। তাই এদিন ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে কাটান মুসলমানরা।

হিজরি ৬১ সনের (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ১০ মুহররম ইরাকের কুফা নগরের অদূরে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে সঙ্গী-সাথিসহ নির্মমভাবে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.)।

অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইমাম হুসাইনের (রা.) আত্মত্যাগের এ ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

বলা হয়ে থাকে, এ দিনেই জগৎ সৃষ্টির সূচনা হয়। একই দিনেই তা ধ্বংস হবে। প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম (আ.) কে ১০ মুহররম সৃষ্টি করা হয়। আলোচিত এ দিনেই তাকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়।