দুই সাংবাদিককে মারার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলো আ’লীগ নেতা

দুই সাংবাদিককে মারার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলো আ’লীগ নেতা

কামরুল হাসান, পটুয়াখালী থেকে: পটুয়াখালীর বাউফলে প্রকাশ্যে একটি সভা থেকে দৈনিক জনকণ্ঠ ও প্রথম আলোর দুই সাংবাদিককে কুলাঙ্গার বললেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। শুধু তাই নয়, ওই দুই সাংবাদিককে মারার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশও দেন তিনি।

এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম ইব্রাহিম ফারুক। তিনি বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় করোনা ভাইরাস বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রাইমারী, হাইস্কুল ও মাদ্রাসার প্রধানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে দৈনিক জনকণ্ঠের বাউফলের নিজস্ব সংবাদদাতা ও বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাচ্চু এবং প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি ও বাউফল প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য এবিএম মিজানুর রহমানকে কুলাঙ্গার ও জারজ সন্তান বলে গালিগালাজ করেন। এ ছাড়াও তিনি আরও অনেক কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। তিনি ওই দুই সাংবাদিককে সুযোগ বুঝে মারার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ১০ মার্চ দৈনিক জনকণ্ঠ ‘ক্যালেন্ডার বিক্রির নামে অভিনব চাঁদাবাজি’ এবং ১৩ মার্চ প্রথম আলো পত্রিকায় ‘পঞ্জিকা ছাপিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে আওয়ামী লীগে নেতারা ক্ষুদ্ধ হন এবং এ কারণে ইব্রাহিম ফারুক ওই সভা থেকে ওই দুই সাংবাদিককে আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাসসহ প্রকাশ্যে মারার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম ফারুককে তার মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার এ কুরুচি ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে বাউফলের সাংবাদিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছেন।