সুষ্ঠু ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে: সম্পাদক পরিষদ

সুষ্ঠু ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে: সম্পাদক পরিষদ

দেশে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে। আর তাতে আলো ছড়াবে গণমাধ্যম। তাই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। আর সেই সাথে মুক্ত সাংবাদিকতা কোনভাবেই যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানানো হয়।

৫০ বছরের বাংলাদেশের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গণমাধ্যমের নাম। এই সময়ে কী অবস্থায় আছে গণমাধ্যম? সেই সাথে সংকট কিংবা সমাধানের পথ নিয়ে শনিবার (৩০ অক্টোবর) আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আর শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা আলোচনায় গণমাধ্যমের নানা ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন। সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, সংবাদ মধ্যমের উপর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ আঘাত গণতন্ত্র, সুশাসন এবং সর্বপরি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধোর চেতনার উপর আঘাত।

গণমাধ্যমের এই অবস্থার জন্য ঐক্যের অভাবকে দায়ী করে বক্তারা বলেন, দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছে যাতে দিনে দিনে গ্রহণযোগ্যতা কমছে গণমাধ্যমের।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক সমাজ যে সব প্রতিষ্ঠানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। আর ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে সাংবাদিকতা যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তা নজিরবিহীন। এছাড়া যে আইন দৃশ্য এবং অদৃশ্য না, এ ধরনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে দ্য নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, গণতন্ত্র থাকলে যেমন সৎ সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটে আবার সাংবাদিকতা সুষ্ঠ এবং প্রবলভাবে থাকলে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে। বর্তমানে আমাদের সাংবাদিকতা অনেক নিম্নমানের।

পরে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম গণমাধ্যমের উন্নয়নে তুলে ধরেন তার নানা প্রস্তাবনা। এসময় বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ, স্বাধীন গণমাধ্যম রোধে নির্যাতন আইনগুলো সংশোধনের প্রস্তাব দেন।