বিদেশি কূটনীতিকদের অনুপস্থিতিতেই নির্বাচন: আসিফ নজরুল

বিদেশি কূটনীতিকদের অনুপস্থিতিতেই নির্বাচন: আসিফ নজরুল

ঢাকা, ৯ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকে তারা মূলত তত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকাই পালন করে। কারণ তারা কোনো ধরনের নীতিনির্ধারণী ভুমিকা পালন করেন না।

বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অবশ্যই বিদেশি কুটনিতিকরা একটা ভূমিকা রাখেন এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণেও তাদের ভূমিকা থাকে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে। এই সময় অধিকাংশ বিদেশি কূটনীতিকরা ‘ক্রিসমাস হলিডেতে’ তাদের দেশে চলে যায়। অতএব তারা কিভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ভূমিকা রাখবে। বিদেশী কূটনীতিকদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন খুবই তাড়াহুড়ো করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনের সময় নীতিনির্ধারণী বিষয়ে মাথা ঘামাবে সেটা সরকারের কার্যক্রম থেকেই বোঝা যায়। ঐক্যফ্রন্টের অনেকগুলো দাবি সংবিধানের ভিতরে থেকেই মানা সম্ভব। যেমন সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। এছাড়া বিরোধী দলকে সাথে নিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দিয়ে একটা নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যায়। কারণ ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী, বিএনপিকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এছাড়া একইসাথে নিবাচন কমিশন গঠন করার প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যদি দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় তাহলে অবশ্যই একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে নির্বাচনের জন্য। আর ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা সংবিধানে নেই। নির্বাচন কমিশন খুবই তাড়াহুড়ো করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।

এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচন পেছালে বিএনপি ষড়যন্ত্র করবে। আসলে এই কথা সত্য নয়। কারণ বিএনপি বিগত ৫ বছরে কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারেনি আর এই সামান্য কয়দিনে কি ষড়যন্ত্র করবে?

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১১৫০ঘ)