‘বুড়িগঙ্গায় দখলদারদের সাথে আপোষ করা হয়েছে’

‘বুড়িগঙ্গায় দখলদারদের সাথে আপোষ করা হয়েছে’

বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও বাপা’র সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, নদীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করতে সরকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের যে অভিযান পরিচালনা করছেন তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। তবে বুড়িগঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা ভাঙার ক্ষেত্রে কোনো কোনো জায়গায় দখলদারদের সাথে আপোস করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি যথাযথ পন্থায় সঠিক আইন মেনে ছোট-বড় না দেখে নদীর যায়গায় দ্রুত নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

শনিবার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র এক প্রতিনিধি দল বুড়িগঙ্গা নদীর দু’পাড়ের উচ্ছেদ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মহিদুল হক খান, পুরাতন ঢাকার বাসিন্দা ও বাপা’র সদস্য জাভেদ জাহান, ইমরান হোসেন, লালন গবেষক সরদার হীরক রাজা, গ্রীণ ভয়েসের সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

অন্যদিকে উচ্ছেদ কার্যক্রম ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, সরকারি টাস্কফোর্স গণমাধ্যমে বলেছেন যে তারা ২০০৯ সালের নদী রক্ষা বিষয়ক হাইকোর্টের রায় মেনে কাজ করছেন। কিন্তু সরেজমিন পরিদশর্নে দেখা যায় অধিকাংশ স্থানেই উচ্চ আদালতের রায় হুবহু প্রতিপালিত হয়নি। বরং তারা ভুল ভাবে স্থাপিত নদীর সীমানা খুঁটিকে ভিত্তি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে রায়ে নির্দেশিত ‘ব্যতিক্রমহীন’ ভাবে দখলদার উচ্ছেদ হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, অধিকাংশ স্থানে নদী তট (ফোর শোর) রক্ষা করা হয়েছে, ১৫০ ফুট প্রস্থ ‘নদীপাড়’ রক্ষা করা হয়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আদি বুড়িগঙ্গার উপরে অবস্থিত অসংখ্য বেআইনি দখলদারদের কিছুই করা হয়নি। আমরা বুড়িগঙ্গা নদীর সঠিক পূনরুদ্ধার নিশ্চিতকরণে হাইকোর্টের রায়ের যথাযথ, পূর্ণাঙ্গ ও নির্মোহ বাস্তবায়ন দাবি করছি।

প্রতিনিধি দলটি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করে বসিলা খেয়াঘাট (ব্রীজের নীচে) মোহাম্মদপুর পর্যন্ত সরেজমিনে নদীর বর্তমান অবস্থা ও সরকারি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এমআই