ভোট কারচুপি নিয়ে মামলা করতে বললেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

ভোট কারচুপি নিয়ে মামলা করতে বললেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান। তিনি প্রার্থীদের ওপর হামলা ও ভোটে কারচুপির বিরুদ্ধে মামলা করারও পরামর্শ দিয়েছেন।

সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় নির্বাচনের ফল ঘোষণা স্থগিতের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান ভোট বর্জন করা ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রার্থীরা। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেখানে তারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ও ভোট কারচুপির অভিযোগ জানালে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনে যেসব ঘটনা আপনারা অপ্রীতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সেগুলোর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

ভোট বর্জন করার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন সমর্থিত স্বতন্ত্র জোট, স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী ও সমর্থকেরা। এরপর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে তাঁরা নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে যান। সেখানে তারা মৌখিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ফল ঘোষণা স্থগিতের আহ্বান জানান।

জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। এরপর ভোট বর্জনকারীদের পক্ষে ছাত্র ফেডারেশন –সমর্থিত স্বতন্ত্র জোটের উম্মে হাবীবা বেনজির, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাশেদ খান, স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান ও প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী অভিযোগপত্র লেখেন।

অভিযোগপত্রে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানে বাধা, ভোট কারচুপি, প্রার্থীদের ওপর হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরি, ভোটার লাইনে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়।
লিখিত অভিযোগপত্র নিয়ে ভোট বর্জনকারীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে আবার ভোটের ফল স্থগিতের দাবি জানান এবং এই ঘোষণা দিতে কত সময় লাগবে তা জানতে চান। তখন রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত না।’

এমআই