রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন চান কূটনীতিকরা

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন চান কূটনীতিকরা

ঢাকা, ২১ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশী কূটনীতিকরা। তাদের মতে, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়।

রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তারা একথা বলেন।

এতে প্রথমে পশ্চিমা, অমুসলিম দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং পরবর্তী সময়ে মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফিং দেয়া হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দেয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকেট রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও মর্যাদাসম্পন্ন।

ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন রাজ্যের উন্নয়ন প্রয়োজন। এ জন্য মিয়ানমারকে সহায়তা দিচ্ছে ভারত।

ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সই হওয়া সমঝোতা স্মারক, ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট ও যৌথ কার্যকরী গ্রুপ গঠনের ওপর আলোকপাত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ সব পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা, মর্যাদাসম্পন্ন ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চেয়েছে। চুক্তিতে এজন্য সুনির্দিষ্ট বিধান আছে। এর মধ্যে রয়েছে কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়নে মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্য না করা এবং রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করা। চুক্তি অনুযায়ী সার্বিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে যুক্ত করবে। এ লক্ষ্যে ইউএনএইচসিআরের সাথে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসন ও সমাজে অন্তর্ভুক্তিতে মিয়ানমারকে সহায়তা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ। এজন্য ভারত, চীন ও জাপান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২৩৫৬ঘ.)