গাংনীতে ধর্ষণ মামলার আসামী আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

গাংনীতে ধর্ষণ মামলার আসামী আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

মেহেরপুরের গাংনীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ মামলার প্রধান আসামী ইয়াকুব আলী ওরফে কাজল (২৬) নিহত হয়েছেন। নিহত কাজল গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাঁড়াডোব গ্রামের জালাল উদ্দীন ওরফে হাবুর ছেলে।

শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে গাঁড়াডোব গ্রামের একটি বাঁশবাগানে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের ২ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, বহু কুকর্র্মের হোতা কাজল তার সঙ্গীদের নিয়ে এলাকায় ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে আসছিল। তাকে আটকের পর সঙ্গীদের কাছে অস্ত্র আছে এমন কথা স্বীকার করে সে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের একটি দল গাঁড়াডোব গ্রামের একটি বাঁশবাগানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সঙ্গীরা গুলি ছুঁড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়।

গোলাগুলির মধ্যে পড়ে কাজলের বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় পুলিশের দু’কনস্টেবল আহত হয়। কাজলসহ আহত দু’পুলিশকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার এমকে রেজা কাজলকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় ওয়ান শার্টারগান, ২ রাউন্ড গুলি এবং ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়।

গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান, ইয়াকুব আলী কাজল কয়েক মাস আগে গাঁড়াডোব পোড়াপাড়ার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে আত্মগোপনে ছিল। এরপর গত বুধবার বিকালে ধলা গ্রামের এক নারীকে কু-প্রস্তাব দেয়। তার কু-প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করে। পরে ওই রাতেই তাকে ধলা গ্রাম থেকে আটক করা হয়।

ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে এর আগেও একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। এসিড নিক্ষেপ করার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। লাশ উদ্ধার করে থানা নেয়া হয়েছে। আজ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হবে।

এমআই