বিএসটিআই’র পরীক্ষা করা আরও ৯৩ পণ্যের প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

বিএসটিআই’র পরীক্ষা করা আরও ৯৩ পণ্যের প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

অপ্রকাশিত ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল জমা দিতে বিএসটিআইকে (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৬ জুন বিএসটিআই কর্তৃপক্ষকে ওই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শুনানিকালে কনসাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের একটি আবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। ওই আবেদনে বলা হয়, ৪০৬টি পণ্যের মধ্যে ৩১৩টির মান পরীক্ষার ফল ২ মে প্রকাশ করে বিএসটিআই। কিন্তু এখনও তারা বাকি ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেনি। এরপর আদালত ওই ৯৩ পণ্যের পরীক্ষার ফল আদালতে দাখিলে সময় বেঁধে দেন।

এ বিষয়ে পলাশ মাহমুদ বলেন, বিএসটিআই ৪০৬টি পণ্যের মান পরীক্ষা করে ৩১৩টির ফল প্রকাশ করেছে। কিন্তু আরও ৯৩টি পণ্য পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করায় আমরা ওই পণ্যগুলোর নাম বা মান সম্পর্কে জানতে পারছি না। যার কারণে এ বিষয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছি। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম ও বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এমআর হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

এর আগে গত ১২ মে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য বাজার থেকে দ্রুত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে এ নির্দেশ পালন করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত। পাশাপাশি পণ্যগুলোর বিষয়ে যথাযথ আইন অনুসারে তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট ভেজাল পণ্যের মানোন্নয়ন না হওয়া পর্যন্ত তা উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের সে আদেশ প্রতিপালন না করায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করেন হাইকোর্ট।

এমজে/