রাজধানীর মিরপুরে পরীস্থান ও খাজাবাবা পরিবহনের দু’টি বাস পাল্লাপাল্লি করে চালিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি প্যাডেলচালিত রিকশাও দুর্ঘটনায় পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা তখন বাস দু’টিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আটক করে পরীস্থান বাসের চালককে।
দুই বাসের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বয়েজ বাংলা স্কুলের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে জনতা। গাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বাস দু’টি সড়কে পাল্লাপাল্লি করে চলছিল, একটি আরেকটিকে ওভারটেক করতে গেলে এর চাপায় পড়ে যায় একটি সিএনজি ও একটি রিকশা। তখন চারটি বাহন সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ওই পাঁচজন আহত হয়েছেন।
রবিউল ইসলাম নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, পরীস্থান বাসের চালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খাজাবাবার বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে আটক করেছে। জনতার হাত থেকে রক্ষা করে পুলিশ চালককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তবে খাজাবাবার চালক পালিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রুবেল আহমেদ গণমাধ্যামকে বলেন, আহত পাঁচজনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা খারাপ। বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর সোহেল রহমান বলেন, পরীস্থানের চালককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এমআই
