তাহিরপুরে পানিবন্দি ২৫ গ্রামে শুকনো খাবার বিতরণ

তাহিরপুরে পানিবন্দি ২৫ গ্রামে শুকনো খাবার বিতরণ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পানিবন্দি ২৫ গ্রামের পরিবারের লোকজনের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বুধবার দুপুর থেকে মধ্যরাত অবধি ২৫ গ্রামের লোকজনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকাযোগে এসব শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

উল্লেখ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা পাঁচ দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সীমান্ত নদী এবং পাহাড়ি ছড়া ভেদ করে ঢলে পানি ঢুকে পানিবন্দি করে ফেলে উপজেলার উজান ও নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ জনপদগুলোকে।

যে কারণে গ্রামীণ হাটবাজারগুলোতে বুধবার সকাল থেকে প্রায় ৩ ফুট সমপরিমাণ ঢলের পানি প্রবেশ করায় দোকানপাঠ বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে বিভিন্ন গ্রামীণ বসতিতে ঢলের পানি ঢুকে পড়ায় কোনো কোনো পরিবারে সকাল থেকে রাত অবধি চুলো জ্বালানো সম্ভব হয়নি। ফলে পানিবন্দি পরিবারগুলোতে দেখা দেয় শুকনো খাবারের তীব্র সংকট।

এ অবস্থায় উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে লক্ষাধিক টাকার শুকনো খাবার ক্রয় করে নিজ ইউনিয়নের বোরখাড়া, কাশতাল, চরগাঁও, আমবাড়ি, রাশেশ্বরপুর, ফকিরনগর, পুরানঘাট, ব্রাম্মণগাঁও, কড়ইগড়া, রাজাই, আমতৈলসহ ২৫ গ্রামের পানিবন্দি পরিবারের লোকজনের মধ্যে শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া, মুড়ি, গুড়, পাউরুটি, কেক, টোস্ট, খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন।

এদিকে উপজেলা সদর, বাদাঘাট উত্তর, শ্রীপুর উত্তর, শ্রীপুর দক্ষিণ, বড়দল দক্ষিণ, বালিজুরি মডেল ইউনিয়নসহ সাত ইউনিয়নের কমপক্ষে আরও দুই শতাধিক গ্রামে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে।

এসব গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে বুধবার সকাল থেকে রাত অবধি চুলো জ্বালানো সম্ভব হয়নি বলে ভুক্তভোগী পানিবন্দি পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।

যে কারণে ওইসব গ্রামীণ জনপদে পানিবন্দি পরিবারগুলোতে শুকনো খাবারের সংকট দেখা দেয়।

এমজে/