ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছেই, আরো ৭ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছেই, আরো ৭ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুর প্রকোপ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার রাত থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধী অবস্থায়ন তিন জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুবরণকারী তিন ব্যক্তি হলেন, ফরিদপুরের মোহাম্মদ কালামের ছেলে হাবিবুর রহমান (২১), মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেতুয়াধারা গ্রামের কৃষক আমজাদ মণ্ডল (৫২) ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের আহমেদপুরের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম (৭২)।

এদিকে স্বামী-সন্তান নিয়ে দেশে বেড়াতে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মারা যান ইতালি প্রবাসী হাফসা লিপি (৩৪)। ওই নারী চার দিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আইসিইউতে থাকা অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিউল ইসলাম (১৭) ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ গ্রামের নয়ন ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবু মোহাম্মদ খয়রুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জনান।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সোমবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

মৃত রিহানা গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। ডেঙ্গু জ্বরসহ শিশুটিকে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্গে নিউমোনিয়াও ছিল।

মঙ্গলবার ঢাকার ধানমণ্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মদিনা আক্তার নামে ওই শিশু মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড় অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেনের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা মিজানুর রহমান মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে মদিনা বড়। ধানমন্ডি জেনারেল অ্যান্ড কিডনি হাসপাতালে ভোররাতে তার মৃত্যু হয় ।

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল আজিম জানান, শনিবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনরা।

এমআই