ঢাকা এখনও ফাঁকা, ফিরছেন নগরবাসী

ঢাকা এখনও ফাঁকা, ফিরছেন নগরবাসী

ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরতে পেরে তারা বেশ খুশি। বাস বা ট্রেন থেকে নামার পরও যানজটবিহীন ঢাকার রাজপথ ধরে সহজেই তারা পৌঁছে যাচ্ছেন নিজের আবাসস্থলে।

গত ২ দিন ধরে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করলেও এখনও ঢাকা ফাঁকা। শহরে নেই সেই চিরচেনা কোলাহল, নেই গাড়ির জট। বেশির ভাগ সুপার মার্কেট ও বিপণিবিতান বন্ধ। এদিকে ঈদের আগে যারা নানা কারণে বাড়ি যেতে পারেননি তাদের অনেকেই বৃহস্পতিবারও গ্রামের বাড়িতে যেতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে ছিল কোরবানির গোশত ও ঈদের উপহারসামগ্রী। সড়ক-মহাসড়কে নেই যানজট। ফেরিঘাটে গাড়ির চাপ থাকলেও তা ছিল সহনীয়।

নির্বিঘ্নে ঢাকায় আসতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন খিলগাঁওয়ের যাত্রী আবদুল করিম। তিনি বলেন, নেত্রকোনা থেকে মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। রাস্তা ফাঁকা ছিল। চালক তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে অনেক কম সময়ে মহাখালীতে নামিয়ে দেন।

অনায়াসেই এ গাড়ি আরেক ট্রিপ দিতে পারবে। তবে চালককে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালানোর অনুরোধ করার পরও তিনি তা শোনেননি। এদের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবসের কারণে সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ ছিল।

তবে বেশিরভাগ সরকারি অফিসে দোয়া-মাহফিলের আয়োজন ছিল। বেসরকারি অনেক অফিস ও শিল্প-কারখানা বন্ধ। ফলে নগরীর সড়ক প্রায় ফাঁকা। কিছুক্ষণ পরপর দু-একটি গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে শোক দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে নগরীর পাড়া-মহল্লায় মানুষের জটলা লক্ষ্য করা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনে দেখা গেছে মানুষ ঢাকায় আসছেন, তবে তা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। সকাল থেকে মহাখালী, গাবতলী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, সদরঘাট এলাকায় বিভিন্ন বাস টার্মিনালে গ্রাম ফেরত যাত্রী নিয়ে এসেছে গণপরিবহন।

আজ ও কাল থেকে গ্রাম ফেরত মানুষের ভিড় বাড়বে বলে ধারণা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস পুরোদমে জমে উঠবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে খুলবে। এর মধ্য দিয়ে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পাবে রাজধানী ঢাকা।

তবে ঈদের ছুটিতে নগরীর বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানে মানুষের ভিড় থাকলেও এবার বৃষ্টির কারণে খুব বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক মো. মহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আজ শহরে লোক নাই। অনেক সময় অপেক্ষার পর এক-দু’জন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে।’ হাতিরঝিলে কথা হয় মঈন ও নাসরিনের সঙ্গে।

তারা দু’জন ঘুরতে এসেছেন। মঈন বলেন, ‘অন্য ঈদের পর হাতিরঝিলে মানুষের জটলা থাকে। কিন্তু, এবার বৃষ্টির কারণে মানুষের সংখ্যা কম। আমরা এসেছি, কিন্তু মনের ভেতর বৃষ্টি আতঙ্ক কাজ করছে। কখন বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেয়।’

এমআই