সরকারের ইন্ধনেই রোহিঙ্গা সমাবেশ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

সরকারের ইন্ধনেই রোহিঙ্গা সমাবেশ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের ইন্ধনেই রোহিঙ্গারা এত বড় সমাবেশ করার সুযোগ পেয়েছে। এই সমস্যাকে স্থায়ী করে সরকার অন্য কিছু হাসিল করার চক্রান্ত করতে পারে বল মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের সদস্য ভিপি ইব্রাহীম, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার নিজেদের যত শক্তিশালী মনে করে তারা তত শক্তিশালী নয়। র‍্যাব দিয়ে সরকার মানুষ মারতে পারে কিন্তু সামান্য মশা মারার ক্ষমতা নেই তাদের।

তিনি বলেন, জনগনের কথা বলার স্থান রাজপথ স্বৈরতন্ত্রের দখলে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতে হবে না, বিভ্রান্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। কখনো নেতানেত্রীদের বিচার আদালতে হয় না, জনগনের আদালতে হয়। জনগনের আদালতের বিচারে বেগম জিয়া দোষী নয়। এই সরকার শক্তিশালী নয়, তারা নৈতিক ভাবে দূর্বল।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে স্তব্ধ করা মানেই জাতীয়বাদী গণতন্ত্রকে হত্যা করা। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতে হবে না, বিভ্রান্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

তারেক রহমান সম্পর্কে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তারেক রহমানকে নেতা বানাবেন কী? তারেক রহমান তো দেড় যুগ আগে নেতা হয়ে গেছেন। তারেক রহমান এদেশের মানুষের মনের ভিতরে ঢুকে গেছেন।

তিনি বলেন, নেতা এমনি এমনি হয় না, নেতা হতে যোগ্যতা লাগে। আর সেই যোগ্যতা আছে বলে তারেক রহমান বিদেশে থেকেও বিএনপির মত একটি বড় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমনকি তার বিষয়ে দলের মধ্যে কোন মতপার্থক্য নাই। বরং তার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

এমআই