শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধে হাইকোর্টে রিট

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধে হাইকোর্টে রিট

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট আবেদন করেন।

রিটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও রিটে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী নিহত আবরার ফাহাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বুয়েটসহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা, রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য এবং শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আরজি জানানো হয়েছে।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও নিষিদ্ধ করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উপর র্যাগিংয়ের নামে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়; যা সংবিধানের ১১, ৩১, ৩২, ৩৪, ৩৫(৫), ৩৬, ৩৮, ৩৯ ও ৪০ অনুচ্ছেদ ও ঘোষণাপত্রের লঙ্ঘন। তাছাড়া সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৪০ ও ঘোষণাপত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) ছাত্র ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।