লোহাগড়া আ’লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন

সভাপতি পদে এক ভোট সাত হাজার, সাধারণ সম্পাদক ছয়!

সভাপতি পদে এক ভোট সাত হাজার, সাধারণ সম্পাদক ছয়!

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ রবিবার।সম্মেলনকে ঘিরে দুই শীর্ষ পদে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে।

সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত লে. কমান্ডার এ এম আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, সভাপতি পদে ভোট কেনাবেচা হচ্ছে সাত হাজার টাকায়। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট কেনাবেচা হচ্ছে ছয় হাজার টাকায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দলীয় নেতা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। সেখানে লোহাগড়া পিছিয়ে পড়ছে। এই অবস্থা চলতে পারে না।’

দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও প্রার্থীরা জানান, সম্মেলনে মোট ভোট ৪৮৯। কাউন্সিলররা একটি ভোট একাধিক প্রার্থীর কাছে বিক্রি করছেন।

আবার এক পক্ষের নেতারা জানান, সম্মেলন যারা ডেকেছেন মূলত তাঁরাই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে চাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা-কর্মীরা জানান, এবারের সম্মেলনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে। তাই ক্যাসিনো সমর্থক নেতাদেরই নেতৃত্বে আসার আশঙ্কা বেশি। এখন টাকা দিয়ে ভোট কিনে যেসব প্রার্থী নেতা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা ভবিষ্যতে টাকার বিনিময়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের কমিটি বিক্রি করবেন।

কর্মীরা জানান, সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতকৃত কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। নিয়ম থাকলেও ১২টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদক কাউন্সিলর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। ইউনিয়নের সভাপতি বা সম্পাদকের পছন্দের তালিকায় না থাকলে পূরণ হয়নি কাউন্সিলর হওয়ার স্বপ্ন। আবার সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির যেসব নেতা তালিকা যাচাই-বাছাই করেছেন তাঁদেরও পছন্দের হতে হয়েছে, নইলে তালিকায় নাম ওঠেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অভিযোগ করেন, জয়পুর ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় বা জেলা কমিটির নির্দেশনা মানা হয়নি। তড়িঘড়ি করে শুক্রবার রাতে দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৩১ জন কাউন্সিলর চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন দলকে তৃণমূল থেকে গড়ার জন্য। অথচ এখানকার কয়েকজন নেতা টাকার বিনিময়ে কাউন্সিলর করেছেন।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাস চন্দ্র বোস বলেন, ‘ভোট কেনাবেচা করে কেউ আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচিত হতে পারবে না। তার পরও অভিযোগ উঠলে আমরা যাচাই-বাছাই করব।’

এমআই