জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী ইরান আত্মরক্ষা করেছে: জারিফ

জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী ইরান আত্মরক্ষা করেছে: জারিফ

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, তেহরান যুদ্ধ বা উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই দফা হামলা চালানোর পর এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ইরান আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং তা শেষও করেছে। শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডকে কাপুরুষোচিত সশস্ত্র হামলা বলে উল্লেখ করে ইরান বলেছে, তারা তাদের নাগরিক এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনার জবাব দিতেই ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব বলে উল্লেখ করেছে তেহরান।

জাভেদ জারিফ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না বা কোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চাই না। তবে আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষা করব আমরা।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো জেনারেল সোলেইমানিকে। তিনি ইরানের জনগণের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে ইরানিরা আগের চেয়ে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

সর্বোচ্চ নেতা খামেনি তার ঘনিষ্ঠ জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যুর কঠোর জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বুধবার সকালের দিকে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকির মাঝেই এই হামলা চালালো তেহরান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিশোধমূলক এই হামলার পরে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো আরও ভয়াবহভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।

ইরানের এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কী ধরনের জবাব আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।