করোনাভাইরাস মোকাবিলা

সার্ক নেতাদের ভিডিও কনফারেন্স রবিবার

সার্ক নেতাদের ভিডিও কনফারেন্স রবিবার

নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রস্তাবিত সার্ক নেতাদের একজোট হয়ে শক্তিশালী কৌশল রচনার জন্য ভিডিও কনফারেন্স রবিবার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইতমধ্যেই সার্কভুক্ত সব কটি দেশই এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে এতে অংশগ্রহনের কথা জানিয়েছে।

বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে এর আগে শুক্রবার একাধিক টুইট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আমাদের গ্রহটি এখন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। বিভিন্নভাবে সরকারগুলো ও দেশের জনগণ করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ শক্তি ব্যয় করছে। দক্ষিণ এশিয়া এমন এক অঞ্চল যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের বাস।

তাই আমাদের উচিত তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সব ধরণের প্রচেষ্টা চালু রাখা। এরপরই তিনি সার্ক নেতাদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স আয়োজনের প্রস্তাব করে লিখেছেন, আমি প্রস্তাব উত্থাপন করতে চাই যে, সার্ক নেতৃত্বেরও উচিৎ একজোট হয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শক্তিশালী কৌশল নির্ধারণ করা। আমরা এ আলোচনা করতে পারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে।

আমরা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি। মোদীর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে এম আবদুল মোমেন বলেছেন, সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য করোনা বিষয়টি একটি কমন চ্যালেঞ্জ। যে কারণে আমি আশা করবো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সবাই সাড়া দিবেন। তাৎক্ষণিকভাবে টুইটারে এই প্রস্তাবে সার্কভুক্ত দেশ নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান সায় দিয়েছে।

সর্বশেষ শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণের কথা জানানো হয়েছে। পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়শা ফারুকি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের মত ভয়াবহ মহামারীকে মোকাবিলা করতে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সমন্বিত চেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ড. জাফর মির্জা এতে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার এন কাদুরুগামুয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রস্তাবটি খুবই ভাল। আমরা এই সময়োচিত উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। আফগানিস্তান সরকারের মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকি বলেছেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান। আমরা সার্কের সব দেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য তাকিয়ে রয়েছি। উল্লেখ্য সার্ককে ভারত সম্প্রতি মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছিল না। বরং বিমসটেককে গুরুত্ব দিচ্ছিল।

২০১৬ সালে ভারতের উরিতে ‘পাকিস্তান সমর্থিত’ জঙ্গীদের আক্রমণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন বয়কট করেছিল। অন্যান্য দেশও এই বয়কটে সামিল হয়। ফলে সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। এরপর থেকে ভারতের অনাগ্রহে সেই সম্মেলন আর অনুষ্ঠিত হয়নি।