সীমিত পরিসরে সপ্তাহে দু’দিন নিম্ন আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত

সীমিত পরিসরে সপ্তাহে দু’দিন নিম্ন আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত

সীমিত পরিসরে সপ্তাহে দু’দিন নিম্ন আদালত খোলা রাখার বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ২৩শে এপ্রিল ২৭৫২ এ, স্বারক দ্বারা বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর এলাকায় মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালীন সময়ে প্রতি সপ্তাহের যেকোনো দু’দিন সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ছুটিকালীন সময়ে সুবিধা মতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দু’দিন আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে বর্ণিত আদেশ প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিসহ সাধারণ বিজ্ঞ আইনজীবীগণ বর্ণিত আদেশ পুনর্বিবেচনা করা করতঃ আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনা করেন। এমতাবস্থায় বর্ণিত আইনজীবী সমিতিসহ সাধারণ বিজ্ঞ আইনজীবীগণের অনুরোধে এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে ২৩শে এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো। এই বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৩শে এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালীন তাদের সুবিধা মতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দু’দিন কঠোরভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে আদালত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হলো।

‘চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ছুটিকালীন সুবিধা মতো প্রতি সপ্তাহে দু’দিন কঠোরভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হলো।’