সামাজিক দূরত্ব না মেনে চাকরি বাঁচাতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে আজও গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরছে শত শত মানুষ।
শুক্রবার (১ মে) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়।
ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির পাশাপাশি অনেকেই শিশু সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ফেরিতে উঠছেন। ঢাকায় গার্মেন্টস ও অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায়।
এদিকে গত পাঁচদিনে দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির পাঁচজন কর্মচারীর করোনা পজিটিভ হওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ঘাটে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। এর মাঝেই প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হচ্ছে এ ঘাট দিয়ে।
ঢাকামুখী যাত্রীরা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আছে, কিন্তু চাকরি তো বাঁচাতে হবে। চাকরি বাঁচাতে মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলে করে ঘাট পর্যন্ত এসে ফেরিতে উঠেছেন তারা। আবার অনেকেই তাদের নিজস্ব মোটরসাইকেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। লকডাউন যদি থাকবে তাহলে কেন গার্মেন্টসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলল।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব হোসেন জানান, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সীমিত আকারে কয়েকটি ফেরি চলাচল করছে। এর মাঝেই ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে। গত কয়েকদিন ঢাকামুখী যাত্রীরা বেশি পার হচ্ছে।