বাস ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি সুজনের

বাস ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি সুজনের

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুহারের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকায় আবারো ‘লকডাউন’ কঠোর এবং বাসভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি মূল্য কমিয়ে মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’।

‘লকডাউন’ প্রত্যাহার এবং বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার সংগঠনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান এবং সম্পাদক ড.বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতার মধ্যে ঘোষিত লকডাউন প্রত্যাহার করে উল্টোপথে হাঁটছে সরকার। দেখা গেছে যে, সংক্রমণহারের নিম্নমুখিতা দেখে অন্যান্য দেশ পর্যায়ক্রমে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিলেও, আমাদের দেশে সরকার সংক্রমণ ও মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখিতার সময়ে একযোগে সারাদেশে লকডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সুজনেরও আশঙ্কা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সুজন মনে করে, সংক্রমণহারের নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কড়াকড়িভাবে লকডাউন আরোপ রাখার কোনো বিকল্প নেই। কেননা সব কিছুর আগে মানুষের জীবন।

বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সারাদেশে বাস চলাচলের অনুমতির পাশাপাশি ৬০ শতাংশ বাসভাড়া বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে বাসভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে দুর্বিষহ দিনযাপন করছে সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায় তাদের ওপর বাড়তি ভাড়ার চাপ কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।

এতে আরো বলা হয়, অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকরা যে ক্ষতির কথা বলছেন, সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা সমন্বয় করতে পারে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। সরকার যদি বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করে, তবে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে না। এর পাশাপাশি পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। গণপরিবহনে ভর্তুকি দিয়েও সরকার বাসভাড়া বৃদ্ধি না করার কথা ভাবতে পারে।

বিবৃতিতে সরকারের প্রতি অবিলম্বে ‘লকডাউন’ কঠোর করার এবং সঙ্গে বাসভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।