'জবাব' দিতে দুদকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ডা. শাহজাহান

'জবাব' দিতে দুদকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ডা. শাহজাহান

করোনাকালে এন৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার সকাল ১০টার কিছু পরে ডা. মো. শাহজাজান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেন৷ এর কিছুক্ষণ পরেই তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়৷

দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

দলের অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।

রবিবার আরো জিজ্ঞাসবাদ করা হবে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সাবেক সহকারী পরিচালক উপপরিচালক ও পিঅ্যান্ডসি ডা. মো. জাকির হোসেন এবং সাবেক মেডিকেল অফিসার (চিফ কো-অর্ডিনেটর) ডা. জিয়াউল হককে৷

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সাবেক-বর্তমান মোট ছয় কর্মকর্তার মধ্যে বাকি তিনজনকে সোমবার (২০ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তারা হলেন সাবেক ডেস্ক অফিসার-৮ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব (স্টোর) ডা. সাব্বির আহম্মেদ, স্টোর অফিসার কবির আহম্মেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার মো. ইউসুফ ফকির।

এর আগে গত ১২ জুলাই দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরে এক তলবি নোটিশের মাধ্যমে এসব কর্মকর্তাকে তলব করা হয়।

তলবি নোটিশে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি কেনা ও বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এমজে/