ঈদের কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

ঈদের কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

ঈদ উপলক্ষে বিপণিবিতান ও ফুটপাতে কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। শারীরিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতারা।

শুধু তাই নয়, রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে মাস্ক ছাড়া কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার মিরপুর ৬, ২, ১০, ১১ নং সেকশন, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিপণিবিতানগুলোতে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্রেতা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন, তারা শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। তবে এ ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অজুহাতের কোন শেষ নেই। কেউ কেউ বলছেন মাস্কের ফিতা ছিঁড়ে গেছে। আবার কেউ বলছেন বাসা থেকে ভুল করে মাস্ক না নিয়েই চলে এসেছেন।

মিরপুর ১১ নং সেকশনের নান্নু মার্কেটে সন্তানের জন্য কাপড় কিনতে এসেছেন রমজান আলী। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক পরেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম, পথে দেখি মাস্কের দড়িটা ছিঁড়ে গেছে, জোড়া দিতে পারিনি। তাই ফেলে দিয়েছি। সামনে কোন ফার্মেসি পেলে কিনে নেব।

এদিকে মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা তেমন না থাকলেও দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শারীরিক দূরত্ব না মেনে মার্কেটগুলোতে ঘুরতে দেখা গেছে অনেককে। তবে দোকানিরা জানিয়েছেন বেচাবিক্রি হলে না স্বাস্থ্যবিধির চিন্তা আসে। সকাল থেকে দোকান খোলা রাখলেও অনেকেই দুপুর পর্যন্ত বনিও করতে পারেননি। তাই এখানে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কোনো কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ার চার তারা মার্কেট সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিটি দোকানেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রয়েছে। আর শারীরিক দূরত্ব যে বিষয়টি সেটি ক্রেতা সমাগম হলেই না বলা যাবে। বেচাবিক্রি একেবারেই নেই, অনেক দোকানদার দিন শেষে দুই-চার হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনগুলোতে টিকে থাকাই দায় হয়ে যাবে।

অপরদিকে ঈদকে সামনে রেখে বিপণিবিতানগুলোতে তুলনামূলকভাবে কিছুটা সমাগম বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাহেদ ইমরান বলেন, মাস্ক বিহীন চলাফেরায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই মহামারি থেকে বাঁচতে গেলে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাই সবাইকে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আমরা এই মহামারি থেকে রক্ষা পাব।

ঈদের এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

এমজে/