বাংলাদেশ থেকে ভারতে রেমডেসিভির চোরাচালান: ৮২ কোটি রুপি পাচার

বাংলাদেশ থেকে ভারতে রেমডেসিভির চোরাচালান: ৮২ কোটি রুপি পাচার

বাংলাদেশ থেকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির ইনজেকশন পাচার হয়েছে ভারতে। কোনো বিল বা আমদানি লাইসেন্স ছাড়াই ভারতে গেছে ওই ওষুধ। আর ভারত থেকে মূল্যবাবদ ৮২ কোটি রুপি হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে গেছে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।

খবরে বলা হয়, গুজরাটে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ এ নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে। তারা বলছেন, চোরাচালানকারীদের যোগাযোগের মূল ব্যক্তি ছিলেন সাব্বির আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি। বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরার আগরতলা দিয়ে এই ওষুধ প্রবেশ করে ভারতে। এরপর সেগুলো গুজরাটের আহমেদাবাদে পৌঁছায়।

তদন্তকারীরা বলছেন, মূলত দুই ব্যাচে ওষুধগুলো বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়।

একজন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘ওষুধের প্রথম চালান ৭ জুলাই আহমেদাবাদ আসে। দ্বিতীয় চালান আসে ১২ জুলাই। সন্দিপ মাথুকিয়া নামে এক ব্যক্তি আগরতলার হোটেল জিনজার থেকে এই ওষুধগুলো গ্রহণ করেন। সন্দীপ বাংলাদেশের সাব্বিরকে সরাসরিই চিনতেন। আগরতলা থেকে ওই ওষুধ আহমেদাবাদে বিমানে নিয়ে আসা হয়।’

তদন্তকারীরা জানান, ঢাকার ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদিত রেমডেসিভির, যার ব্র্যান্ড নাম নিনাভির ১০০, গুজরাটে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। অপরাধ তদন্ত বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ওষুধের চালানে এসকায়েফ বাংলাদেশ-এর উৎপাদিত রেমিভির ১০০ নামে ওষুধও ছিল। এই ওষুধ কোনো বিল বা যাচাইবাছাই ছাড়া কেনা হয়েছে।’

এই মামলায় ভুপালের বিশালি গয়ানি, দর্শন সনি, শেখর আদরোজা, পার্থ গয়ানি, সুরাটের সন্দিপ মাথুকিয়া, যশকুমার মাথুকিয়া ও বাংলাদেশের সাব্বির আহমেদকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কালোবাজারে বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নিয়ে আসা রেমডেসিভির বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পাওয়ার পর সক্রিয় হয়ে উঠে ভারতের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিসিএ)। প্রতিষ্ঠানটি ছদ্মবেশে এক কর্মকর্তাকে গ্রাহক সেজে ওষুধটি কিনতে পাঠায়। তার কাছে ৩৬ হাজার রুপির বিনিময়ে কোনো বিল ছাড়াই দু’টি ইনজেকশন বিক্রি করেন যশকুমার মাথুকিয়া, যিনি সন্দিপ মাথুকিয়ার কাজিন। তারা দু’ জনেই এই অপরাধে জড়িত।

অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলছে, অভিযুক্তরা সবাই এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে তাদেরকে ধরতে অভিযান চলছে।