রাজধানীর হাটে গরুর সংকট, ক্রেতারা হতাশ

রাজধানীর হাটে গরুর সংকট, ক্রেতারা হতাশ

রাজধানীর বিভিন্ন হাটে কোরবানীল পশুর সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে যারা এখনো গরু বিক্রি করেননি তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে ক্রেতার হতাশ হচ্ছে গুরুর এই সংকটপ দেখে। প্রতিবছরই কোরবানীর ঈদের আগের দিন রাজধানীর বেশির ভাগ লোক পশু ক্রয় করেন। কিন্তু কেউ কল্পনাও করেননি এবার গরুর এমন সংকট হবে। গরুর সংকট থাকায় যে কটি গরু বাজারে আছে, তার দাম অনেক বেশি। শুক্রবার বিভিন্ন হাটের খবর নিয়ে জানা গেছে এমন তথ্য।

জানা গেছে, শনির আখড়া গরুর হাটে গরুর সংকট। স্থানীয়রা জানান, ‘গরুর কাস্টমারের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। রাতেই অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়ে যায়। আমরাও ভাবিনি এমনটি হবে।’

শনির আখড়ার গরুর হাটের ইজারাদারদের একজন জাফর হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের মধ্যে এমন গরুর সংকট কখনোই দেখা যায়নি। গতকাল রাত ১০টার পর থেকে হাটে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। রাত তিনটা নাগাদ হাটের অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়ে যায়। গরুর সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। সকাল থেকেই হাটে গরু না থাকায় আমরা আশপাশের যাঁরা গরুর ব্যাপারী আছেন, তাঁদের এই বিষয় জানাই। এরপর থেকেই কিছু কিছু গরু আবার হাটে আসা শুরু হয়েছে। যে পরিমাণ ক্রেতা হাটে আছে, সেই তুলনায় গরুর সংখ্যা একেবারেই কম।’

শনির আখড়ার দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে দেখা গেল, গুটিকয়েক গরু সেখানে বাঁধা আছে। অথচ ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। এক বিক্রতা বলেন, যে পরিমাণ ক্রেতা বাজারে আছে, সেই তুলনায় গরু বাজারে নেই। হয়তো অনেকেই এবার কোরবানি দিতে পারবেন না।

শনির আখড়া গরুর হাটের মতো পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা গরুর হাটেও গরু নেই। ধূপখোলা গরুর হাটের ইজারাদারের একজন মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল রাত ১০টার পরে প্রচুর ক্রেতা হাটে আসেন। রাত তিনটার মধ্যেই সব গরু বিক্রি হয়ে যায়। টাঙ্গাইলের এক গরুর ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা ভাবিনি ঈদের আগের দিন সব গরুর হাট থেকে বিক্রি হয়ে যাবে। কিন্তু এবার সেটি হয়েছে। মাঠে একটি গরুও নেই।’