স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমে কথা বলা নিষেধ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমে কথা বলা নিষেধ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কথা বলতে নিষেধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে পাঠানো এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখার যুগ্ম সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী এই নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন।

গেল মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) পাঠানো ওই নির্দেশনাতে বলা হয়, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মুখপাত্র হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং অধিদফতরের প্রতিনিধিত্ব করেন। নিয়মিত ব্রিফিং ছাড়াও এই সব বক্তব্য ও মন্তব্যের কারণে অনেক সময় সরকারকে বিব্রত হতে হয়। প্রচার মাধ্যমে সরকারের প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে যথাযথ বিধি-বিধান অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ব্রিফিং ও সাক্ষাৎকার প্রদান বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিষয়ে মহাপরিচালকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীকে ন্যূনতম পরিচালক পদমর্যাদার হতে হবে।

দুর্নীত ও অনিমের তথ্য ধামাচাপা দিতে তথ্য লুকাতে চায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এজন্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর থেকে তথ্য প্রদানে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমনকি গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা যেন কথা বলতে না পারেন সেজন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তারকে তার মূল পদে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন ডা. মো. বেলাল হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে তিনি ডা. আয়েশার পরিবর্তে ডা. মোস্তফা মঈন উদ্দিনকে অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের মিডিয়া মনিটরিংয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। একই দিনে অপর আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ডা. মোস্তফা মঈন উদ্দিনকে অধিদফতরের কন্ট্রোলরুমের মিডিয়া ও মনিটরিংয়ের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ভূতপূর্ব মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা, আয়েশা আক্তারকে অধিফতরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। তিনি গত বছর ডেঙ্গু মহামারী শুরুর পর থেকে গণমাধ্যমে সব ধরনের তথ্য প্রদান করে আসছিলেন। মহাপরিচালকের নির্দেশে তিনি অর্পিত দায়িত্ব সুচারু রূপে পালন করে আসছিলেন। কিন্তু মহাপরিচালক পরিবর্তন হওয়ায় ডা. আয়েশার পরিচিতিতে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে তাকে ওই দায়িদ্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু পরিচালক প্রশাসন একজন জুনিয়র চিকিৎসককে এই দায়িত্ব প্রদান করলে অধিদফতরের কেউ সেটি মেনে নেয়নি। অধিদফতরের এমন টানাপোড়েন অবস্থায় মন্ত্রণালয় এই নতুন নির্দেশনা জারি করল।

এমজে/