আরও ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

আরও ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালু করারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এর ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রবিবার সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস এই চারটা ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার রেল কন্ট্রোল।

ট্রেন চলাচলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

এ সময় তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচলকারী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।

পাশাপাশি স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন রেলমন্ত্রী।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কালোবাজারি ঠেকাতেই অনলাইনে রেলের টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়েছে।

যেসব রুটে চলবে এসব ট্রেন: পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা- খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।

এছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালানো হবে।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল।

এরপর গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়।