এবার ঢামেক থেকে পালালেন আরেক আসামি

এবার ঢামেক থেকে পালালেন আরেক আসামি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাব্বি (১৯) নামে এক আসামি পুলিশ হেফাজত থেকে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে গেছেন। হাসপাতালের ১০২ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি পালিয়ে যান। রাব্বি সবুজবাগ থানার অধীনে স্থানীয় একটি মারামারি সংক্রান্ত মামলার আসামি।

জানা গেছে, বিকেলে প্রস্রাব করার কথা বলে বাথরুমের দিকে নিয়ে যান তার ভাই শাওন। এ সময় ওয়ার্ডের পেছনের দরজা দিয়ে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যান রাব্বি।

অভিযোগ রয়েছে, পাহারারত পুলিশ সদস্যরা আসামির কাছে না থেকে ওয়ার্ডের বাইরের ফটকে বসে গল্পগুজবে মেতে থাকেন। টাকার বিনিময়ে আসামির কাছে সব সময় স্বজন থাকা খাওয়ার সুযোগ করে দেন। এধরনের অর্থলোভ ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

সবুজবাগ থানার ওসি মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে পাহারারত আমাদের পুলিশ সদস্যের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাকে গ্রেফতারের লক্ষে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির পালানোর মাত্র ২২ দিনের মাথায়, কারারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে শনিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে মাদক মামলার এক আসামি।

দুটি ঘটনাতেই দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এখনই ভঙ্গুর বলা যাবে না।

কারাগারের ভেতরে বসে মই তৈরি করে সেটি বেয়ে প্রধান ফটক পার হয়ে, গত ৬ আগস্ট দিনে দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবু বক্কর সিদ্দীক। ঘটনা তদন্ত নেমে কমিটির সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা যায়, ঘটনার দিন কারাগারের ৪৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মধ্যে ২৭টি ছিল অচল। এমনকি কারারক্ষীরাও তাদের নিয়মিত টহলে ফাঁকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারসহ ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে তদন্ত কমিটি।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই চিকিৎসা নেয়ার ভান করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা মাদক মামলার আসামি মিন্টু মিয়া। এ ঘটনাতেই ধরা পড়ে কারারক্ষীদের দায়িত্বে অবহেলা। কয়েদিকে পাহারা দেয়ার বদলে ৩ কারারক্ষী ঘুমিয়ে থাকায় পালিয়ে যায় কয়েদি।

কেন্দ্রীয় কারাগার জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বে অবহেলা ছিল নিঃসন্দেহে। কারণ তারা দায়িত্ব পালন করলে এ ঘটনা ঘটতো না।