ইউএনওর উপর হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় টিআইবি

ইউএনওর উপর হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় টিআইবি

বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই দাবি জানিয়েছে।

গত বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।

দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব বলেছে, এটি চুরির ঘটনা। ‍তবে তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনার পেছনে নিছক ‘চুরির উদ্দেশ্য’ ছিল না বলে মনে করছে টিআইবিও।

সংস্থাটি বলছে, স্থানীয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার ওপর এ জাতীয় হামলার ঘটনায় অন্য সবার মধ্যে সঙ্গত কারণে নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। এটা দূর করতে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃবিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এরকম একটি লোমহর্ষক ও উদ্বেগজনক ঘটনায় যেভাবে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির প্রাথমিক স্বীকারোক্তির ওপর নির্ভর করে একে ‘নিছক চুরি’ এবং একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে প্রচার করা হচ্ছে তা খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও সন্দেহজনক।

‘আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এভাবে বেশ কিছুদিন ধরে তদন্ত শেষ করার আগেই সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সিদ্ধান্ত দিয়ে দিচ্ছেন। এটা কর্মদক্ষতার প্রমাণ নয় বরং আইনি প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।’

বিবৃতিতে ওয়াহিদার উপর হামলার পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী, দুর্নীতিসহায়ক ও স্বার্থান্বেষীদের কোনো ভূমিকা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে সেসবের সঠিক তদন্ত ও বিচারের দৃষ্টান্ত না থাকায় সংশ্লিষ্ট মহল ঘোড়াঘাটের ইউএনওর উপর হামলা করার সাহস পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান।