ছেলের বকেয়া বাড়ি ভাড়ার মাত্র পনেরোশ টাকার জন্য বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন নিহত মেহেদী হাসানের পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে মো. আমিনের বকেয়া বাড়ি ভাড়ার মাত্র পনেরোশ টাকার জন্য প্রথমে আমিনকে পিটিয়ে আহত করে বাড়িওয়ালার ছেলে রানা, সুমন ও মেয়ে পিংকী। এরপর তারা আরও লোকজন নিয়ে আমিনের বাবা মেহেদী হাসানের পোলট্রি ফার্মে হামলা চালায়। সেখানে মেহেদী হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেহেদী হাসানের স্ত্রী বিউটি আক্তার ও বোন ইলা বেগম। বিউটি আক্তার বলেন, ঘাতক রানা ও তার ভাই সুমনের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাদের প্রশ্রয়দাতা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সাবেক কাউন্সিলর। রানা-সুমনের বড় ভাই সুজনের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অভিযোগ ছিল। দুই বছর আগে প্রতিপক্ষের হাতে সুজন খুন হয়। স্থানীয়ভাবে এই পরিবারটি একটি সন্ত্রাসী পরিবার হিসেবে চিহ্নিত।
মেহেদী হাসানের বোন ইলা বেগম বলেন, মাত্র পনেরোশ টাকার জন্য কেউ কাউকে খুন করতে পারে? তার ভাইয়ের সংসারে অভাব ছিল, কিন্তু শান্তিও ছিল। একটি ঘটনায় সবকিছু তছনছ হয়ে গেল। তিনি দ্রুত ভাইয়ের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাসানের পরিবারের অন্য সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিউটি আক্তার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তবে ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। শিগগিরই তারা ধরা পড়বে।