মানবপাচার, মানি লন্ডারিং মামলা

কুয়েতে এমপি পাপুলের মামলার রায় ২৮ জানুয়ারি

কুয়েতে এমপি পাপুলের মামলার রায় ২৮ জানুয়ারি

মানবপাচার ও মানি লন্ডারিং মামলায় কুয়েতে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য পাপুলের জামিন হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে তা বাতিল করে দেন আদালত। ফের আগামী ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ সালে এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এদিকে, কুয়েত সোলায়বীয়া কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) কুয়েত সিটির মালিয়া কোর্টে বিচারক আব্দুল্লাহ ওসমান এর এজলাসে হাজির করা হয় এমপি পাপুলকে। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিন চাইলে বিচারক তা বাতিল করে আগামী নতুন বছরের ২৮ জানুয়ারি রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে যুক্তি-তর্ক শেষ করার ঘোষণা দেন বিচারক। প্রায় দুই মাস রায় ঘোষণার জন্যে পাপুলকে কারাগারে থাকতে হবে। এ নিয়ে মোট ১২ বার পাপুলকে আদালতে হাজির করা হলো।

উল্লেখ্য, মানবপাচার ও মানি লন্ডারিং মামলায় এমপি পাপুলের সাথে অভিযুক্ত স্থানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন উপসচিব শেখ মাজন আল-জাররাহ সাবাহ, জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নওয়াফ আল-মুতাইরি এবং কর্মী বাহিনীর নেতা হাসান আল-খাদের প্রত্যেককে ২০ দিনের জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। পাপুল, রাশেদুল ও মাহবুবসহ ৫ জন আসামিকে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন বিচারক। এরা সবাই মারফি কোম্পানির বাংলাদেশি স্টাফ। এর মধ্যে একজন সিরিয়ান নাগরিক রয়েছেন।

আদালতে পাপুলকে বেশ বিমর্ষ দেখা গিয়েছে। পাপুলকে হ্যান্ডকাপ পরানো ও একই সাথে পাপুলকে এক কালারের জেলখানার পোশাক পরিহিত দেখা যায়। পাপুলের মামলা নং ৯২৪১/2020।

লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিটধারী একজন ব্যবসায়ীও। তার অবৈধ ব্যবসা এবং জাল-জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন তাকে আটকের জন্য কুয়েত সিআইডি অভিযানও চালিয়েছিল। তখন তার দুই সহযোগী গোয়েন্দা জালে আটকা পড়লে তিনি ঢাকায় পালিয়ে নিজেকে রক্ষায় সক্ষম হন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

পরবর্তীতে তিনি কুয়েত সিটিতে গেলে (গত ৬ জুন) সিআইডি টিম তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। একটানা ১০দিন রিমান্ডে থাকার পর জামিন না দিয়ে ১৪ জুন তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।