নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার: বিএনপি

নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার: বিএনপি

সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার এক আলোচনা সভায় এমন অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নতুন করে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এটা একটা গভীর চক্রান্তের নীল নকশার অংশ। বাংলাদেশে তারা আবার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, আবারও উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদেরকে পেছনে ফেলে দিতে চায়, নির্যাতন করতে চায়। কুষ্টিয়ায় আমাদের দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলেছে।

সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, এই সময়ে যত অপকর্ম এটা আপনারা ছাড়া কে করতে পারে, আপনারাই করতে পারেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সেটা আপনারা তৈরি করছেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে ‘স্বৈরাচারের পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি’ দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আজিজুল বারী হেলাল, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, সাদেক আহমেদ খান ও হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।

সাবেক ছাত্র নেতা আমিরুল ইসলাম আলীম ও শহিদুল ইসলাম বাবুল অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে। আমি অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে একটা কথা বলতে চাই, আমাদের গ্রামের মানুষেরাও কিন্তু শক্তি হারায়নি, সাহস হারায়নি। আপনি গ্রামে যাবেন, তাদের জিজ্ঞাসা করবেন। সবাই বলছে যে, কবে পরিবর্তন হবে, কবে ডাক আসবে? সেই ডাক আসছে। আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। এই আবদ্ধ ঘরের মধ্যে নয়, উন্মুক্ত আকাশের মধ্যে, রাজপথে আমাদের বীর সৈনিকেরা যেভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন, যেভাবে সমস্ত অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, অসুন্দরকে পরাজিত করে সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমাদের তরুণ জেনারেশনকে (প্রজন্ম) সেভাবে এগোতে হবে।

তিনি বলেন, লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের এগোতে হবে। আপনারা কখনোই হতাশ হবেন না, আর কখনও হঠকারী হবেন না। ধৈর্য ধরে এগোতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার একে একে সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং রাষ্ট্রকে এখন তারা বিপন্ন করে ফেলেছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর অনেক দেশেই গণতন্ত্র ভালো অবস্থায় নেই। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভালোবাসা কারে কয়’ গানের প্যারোডি করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র কি কেবলই যাতনাময়।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অনেকে বলেন- আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পার্টি। কিন্ত কোনোদিনই গণতান্ত্রিক পার্টি ছিল না। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র বলে কিন্তু কাজ করে উল্টো। আওয়ামী লীগের রক্তের মধ্যেই গণতন্ত্র নেই। ওদের ডিএনএর মধ্যে আছে নির্যাতনকারী, নিপীড়নকারী।