গবেষক দলের পূর্বাভাস

জুন নাগাদ বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু ১৭,০০০ ছাড়াতে পারে

জুন নাগাদ বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু ১৭,০০০ ছাড়াতে পারে

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মনিটর করে এমন একটি গবেষক দল তাদের আগাম পূর্বাভাসে বলেছে, আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছাতে পারে। তাই যদি হয় আগামী জুন নাগাদ ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তারা এটাও বলেছেন, কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হলে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে।

পাঁচজন গবেষক গ্রহণযোগ্য গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দিয়েছেন। গবেষক দলের এই পূর্বাভাসের তথ্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও অবহিত করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ ও শাফিউন শিমুল, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাখখার হোসেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নুসরাত জেবিন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শক আবু জামিল ফয়সাল এই গবেষক দলের সদস্য। তারা গত মে মাস থেকে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে সরকারকে নিয়মিত করোনা সংক্রমণের পূর্বাভাস দিয়ে আসছেন।

গবেষণার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে পিক সময়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজারে উঠতে পারে। যদিও অতি সম্প্রতি সরকারি হিসাবে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি দিনই কমছে।

গত ১০ মাসের সরকারি তথ্য, বাংলাদেশের জনসংখ্যা, সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নেয়া ব্যবস্থা এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই পূর্বাভাস প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ।

ওদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গত সাড়ে সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম ৮২৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি গত সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কমেছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমেছে ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৪২৮ জনের। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৯ জন।